প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে চলছে বিদ্যা ও আরাধনার দেবী সরস্বতীর পূজা। সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে পূজা অর্চনা। এরপর ১০টা থেকে শুরু হয় অঞ্জলি প্রদান। সন্ধ্যা ৬টায় হবে আরতি অনুষ্ঠান। এরপর চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট জগন্নাথ হল চত্বর জুড়ে বিভিন্ন আইডিয়া ও থিমভিত্তিক ৭০টির বেশি মণ্ডপ নির্মাণ করা হয়। তবে এবার করোনার কারণে একটি মাত্র মণ্ডপে এই পূজা উদযাপিত হচ্ছে।

পূজা ঘুরে দেখা গেছে, জগন্নাথ হলে সকাল থেকে শুরু হয়েছে বিদ্যার্থীদের ভিড়। উপোস থেকে মায়ের সামনে এসে পূজা অর্চনা করছেন তারা। মায়ের কাছে তারা সংগীত ও অন্যান্য বিষয়ে ভালো ফলের জন্য প্রার্থনা করছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক শিশুদেরও দেখা গেছে। মাস্ক এবং স্বাস্থ্যবিধি বাধ্যতামূলক করা হলেও তা পুরোপুরি মানতে দেখা যায়নি কাউকে।

পূজা কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুধুমাত্র উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে পূজা। সন্ধ্যায় আরতি অনুষ্ঠান হবে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে আসবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, প্রবেশে কারো জন্য নিষেধাজ্ঞা নেই তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করছি সামনের বছর আবারও পুরনো আমেজে পূজা উদযাপন করতে পারব।

পূজায় আসা জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী রাজু দাস বলেন, করোনার কারণে সীমিতভাবে পূজা উদযাপন করা হচ্ছে। প্রতি বছর অনেক বেশি আমেজ থাকে। তারপরও ভালো লাগার বিষয়টি হচ্ছে পূজা একেবারে বন্ধ করা হয়নি।

পূজা পরিদর্শনে আসা কলি দেবী বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি। একটি মাত্র মণ্ডপে পূজা হলেও ভালোই লাগছে। এটি আমাদের জন্য বিশেষ দিন।

শাস্ত্রমতে, প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতশুভ্র কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবীর বন্দনা করা হয়। শনিবার সকাল ৭টা ৭ মিনিটে শুরু হয়েছে পঞ্চমী তিথি। আগামীকাল রোববার সকাল ৭টা ৯ মিনিটে পূজার তিথি সমাপ্ত হবে। ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সরস্বতী দেবীর আরাধনা করেন।

এইচআর/আইএসএইচ