ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রেস্টোরেটিভ জাস্টিস ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড কানাডা : অ্যা কমপারেটিভ অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্রিমিনোলজি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে। 

বুধবার অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় কানাডার রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ বাংলাদেশ ও কানাডার বর্তমান বিচার প্রক্রিয়া এবং রেস্টোরেটিভ বিচারের কার্যকারিতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান। পরিচালনা করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে ওয়ারা। 

আলোচনা সভায় ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক এবিএম নাজমুস সাকিব ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।  প্রধান আলোচক ড. আসাদুল্লাহ তার বক্তব্যে অপরাধ, রেস্টোরেটিভ বিচার প্রক্রিয়া ও অপরাধ দমনে রেস্টোরেটিভ বিচারের সম্ভাব্যতা তুলে ধরেন।

হাওয়ার্ড জের ১৯৭৪ সালে প্রথম রেস্টোরেটিভ জাস্টিসের যে ধারণা দিয়েছিলেন সেটির উপর ভিত্তি করে বর্তমানের বিচার প্রক্রিয়ায় রেস্টোরেটিভ বিচারের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন তিনি।

এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের বর্তমান বিচার ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রেস্টোরেটিভ জাস্টিসের ভূমিকা এবং কীভাবে বর্তমানের বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও বিচারাধীন মামলার নিষ্পত্তিকরণে অবদান রাখতে পারে, সেগুলো তুলে ধরেন। 
রেস্টোরেটিভ বিচার ব্যবস্থাকে বর্তমান সময়ের জন্য একটি উপযোগী ও সম্ভাবনাময় প্রক্রিয়া  হিসেবে বর্ণনা করে খন্দকার ফারজানা রহমান জেল ব্যবস্থা ও অপরাধী সংশোধন ব্যবস্থার সঙ্গে রেস্টোরেটিভ বিচার ব্যবস্থার জড়িত থাকার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
 
এইচআর/আরএইচ