ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মেঘনা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় তাসরিফ-২ লঞ্চের চালক ও শুকানিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার মালিক আবদুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। 

এদিকে দুর্ঘটনার দুই দিনেও নিখোঁজ জেলে মো.মমিনকে (২৫) উদ্ধার করা যায়নি। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।

দৌলতখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। নিখোঁজ অপর জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার সকালে নিহত জেলে এরশাদ ও আকবরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত জেলেদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে হাতিয়াগামী এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারে ৯ জেলে ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬ জেলেকে জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিলেন ৩ জেলে। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন মমিন নামে এক জেলে। তাদের সবার  বাড়ি চরপাতা ইউনিয়নের ৪ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধে বলে জানা গেছে।

ইমতিয়াজুর রহমান/আরএআর