বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীরের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছয়টি প্রাইভেটকার ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭ জন নেতাকর্মী।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নে দলীয় এক নেতার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী থেকে ফেরার পথে হামলার ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ্ কবীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা গেছে, শুক্রবার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস আলী শেখের বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে যোগ দেন। দুর্গম চরাঞ্চলে যাতায়াতের সড়ক না থাকায় উপজেলার জৈন্তা বাজারে ছয়টি প্রাইভেটকার, একটি মাইক্রোবাস ও অর্ধশত মোটরসাইকেল রেখে যান তারা।

অনুষ্ঠান শেষে জৈন্তা বাজারে আসার পর দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ূন কবীর শাওনসহ ৪০-৫০ নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান দুলাল ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওমর ফারুকসহ সাতজন আহত হয়। এ ঘটনায় ছয়টি প্রাইভেটকার, একটি মাইক্রোকবাস ও ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা করার জন্য প্রথমে দৌলতপুর থানায় যাব। সেখানে মামলা না নিলে রোববার আদালতে মামলা করা হবে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া হোসেন বলেন, বিএনপি নেতার গাড়িবহরে হামলার কথা শুনেছি। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোহেল হোসেন/এসপি