আলজাজিরার প্রতিবেদন উদ্ভট ও কাল্পনিক, বললেন হানিফ
কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মাহবুব উল আলম হানিফ/ছবি: ঢাকা পোস্ট
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, উদ্ভট ও কাল্পনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আলজাজিরা। প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকার কিংবা রাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে দেশের বাইরে পলাতক এক আসামির কথোপকথন তুলে ধরা হয়েছে। হারিস আহমেদের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ কিংবা দুর্নীতির চিত্র এতে নেই। হারিস পলাতক আসামি, তারেক রহমানও পলাতক আসামি। বিএনপি নেতারা লন্ডনে গিয়ে তারেকের সঙ্গে দেখা করেন, কথা বলেন। তখন তো দোষ হয় না।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসভবনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি নবগঠিত কুষ্টিয়া টেলিভিশন ক্যামেরাপারসন অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
দেশে-বিদেশে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে ৭১’র পরাজিত শক্তি। লন্ডনে বসে সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে অপপ্রচার করে ব্যর্থ হয়ে এখন আলজাজিরাকে দিয়ে কাল্পনিক ও উদ্ভট প্রতিবেদন বানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ খারাপের চেষ্টা করা হয়েছে।
মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, জনসমর্থনহীন বিএনপি এখন দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা মনে করছে ষড়যন্ত্র করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে। সেজন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা আগেও বলেছি, আবারও বলছি; এই সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পতন একমাত্র জনগণই ঘটাতে পারে। এর বাইরে কোনোভাবেই সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। বিএনপির দিবাস্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। কোনোদিন স্বপ্নপূরণ হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরায় বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে প্রতিবেদনটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সেনা সদর দপ্তর।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, স্বার্থান্বেষী মহল অশুভ অভিপ্রায়ে এটি প্রচার করেছে। প্রকৃতপক্ষে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সাম্প্রতিক সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। প্রতিবেদনের মন্তব্যকারীরা হলো- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন দোষী ডেভিড বার্গম্যান, মাদকাসক্তির অভিযোগে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কার হওয়া প্রাক্তন ক্যাডেট জুলকারনাইন সায়ের খান (প্রতিবেদনে সামি হিসেবে আলোচিত) এবং অখ্যাত নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনিম খলিল। তাদের অতীত কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে স্বার্থান্বেষী এই ব্যক্তিরা অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে একত্র হয়েছে।
রাজু আহমেদ/এএম