খুলনার ৫১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা
খুলনা জেলা ও মহানগরের ৫১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)। রোববার (৬ মার্চ) কুয়েট অডিটোরিয়ামে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কুয়েট এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়নের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হলে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সে জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা রেকর্ড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এক সময় মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না, কিন্তু তাদের কণ্ঠে এই রেকর্ড যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়বে।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ২৯ বছর দেশটা পেছন দিকে হেটেছে। গত এক দশকে যে উন্নয়ন হয়েছে আগের ৩০ বছরেও তা হয়নি। দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হবে।
বিজ্ঞাপন
মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা-বোনাস বাড়ানো হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুদ্ধের স্থান, বধ্যভূমি ইত্যাদি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ।
মোহাম্মদ মিলন/আরআই