পটুয়াখালীর দুমকিতে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় উপজেলা বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ মার্চ) পটুয়াখালীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার ২২ আসামি হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. আল আমিন ১০ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বাকিদের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমান টোটন।

জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন দুমকি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. খলিলুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম, সদস্য মেহেদী হাসান মিন্টু মৃধা, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ অহিদুল হক, শামীম হাওলাদার, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, আনোয়ার হাওলাদার, ছাত্রদলের আহ্বায়ক গোলাম সরোয়ার, সদস্য লাল মিয়া, জসিম উদ্দিন শম্ভু। তাদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম আগে থেকেই জেলহাজতে ছিলেন।

অ্যাডভোকেট মুজিবর রহমান টোটন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত গত ৫ মার্চ দুমকি উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অন্তত ১৮ জন আহত হন।

এ ঘটনায় দুমকি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ৬ মার্চ রাতে মামলার ৩ নম্বর আসামি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

মুহিবুল্লাহ/এনএ