ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের দুলাল মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রাম থেকে নিখোঁজের চার দিন পর শিশু রোমান বেপারীর (৪) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সদরপুর থানা পুলিশ। নিহত রোমান বেপারী ওই গ্রামের আব্দুর রহিম বেপারীর ছেলে। 

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢেউখালী ইউনিয়নের চরবলাশিয়া এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদীতীরের একটি ধানখেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। প্রাথমিক তথ্য বিবরণী শেষে মরদেহটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় থানা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন আকবর (২২), রহিম শেখ (৫০), সজল (১৮)।

জানা যায়, নিহত রোমানের বাবা রহিম বেপারী ঢাকায় দরজির কাজ করেন। সপরিবার ঢাকায় বসবাস করেন। গত ৩১ জানুয়ারি রহিম বেপারির শাশুড়ি মারা গেলে রোমানকেসহ বাড়িতে আসেন রহিম বেপারী। বাড়ির পাশেই তার শ্বশুরবাড়ি। ৪ ফেব্রুয়ারি শাশুড়ির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রহিম বেপারী তার স্ত্রী ও সন্তান রোমানকে নিয়ে সেখানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানস্থল থেকেই রোমান নিখোঁজ হয়।

এ ব্যাপারে বাবা রহিম বেপারী জানান, শাশুড়ির দোয়া মাহফিল থেকে রোমান নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। অবশেষে চার দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে ঢেউখালী ইউনিয়নের চরবলাশিয়া এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদীতীরের একটি ধানখেত থেকে রোমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রহিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে আমার চাচাতো শালি আনোয়ারা বেগম, মনোয়ারা বেগম ও নাসিমা বেগমের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠানে তারা সবাই উপস্থিত ছিলেন। তারাই আমার শিশুসন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে।

এ ব্যাপারে সদরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে রোমানকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

বি কে সিকদার সজল/এনএ