সাভারের আশুলিয়ায় দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণ বন্ধ করে দুজনকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করেছে চাঁদাবাজরা। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

শনিবার (১২ মার্চ) সকালে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. আসাদুজ্জামান আসাদ। এর আগে শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার কান্দাইলের কামরুল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন আশুলিয়ার কাঠগড়া মোল্লাবাড়ি এলাকার জলিল মাস্টারের ছেলে আশরাফ হোসেন ও সাইজুদ্দিন মোল্লার ছেলে হাজী আসাদুজ্জামান আসাদ। তাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আশুলিয়ার কান্দাইলের কামরুল মোড় এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে আব্দুল ওহাব (৫৮), তার ছেলে হাসান (২১), পালিত ছেলে রানা (২২), বুলবুল (২০), জিয়াউর রহমানের ছেলে জিহাদ (১৯), নরসিংহপুরের কোনাপাড়া এলাকার ফারুক হাসান ফালুর ছেলে পারভেজ খান (১৯), শফি মোল্লার ছেলে জোবায়ের রহমান ইমন (২১) ও মেহেদী হাসান জয়সহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওহাবের বাড়ির পাশে আহত আসাদুজ্জামান আসাদের প্রবাসী আত্মীয় একটি বাড়ি নির্মাণ করছেন। ওহাব ও তার ছেলে বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং এলাকাছাড়া করার হুমকি দেন। গতকাল বিকেলে বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতে গেলে ওহাবের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীসহ আসাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। সবার হাতে চাপাতি, রামদা, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ছিল।

ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তারা আমার আত্মীয়ের জমিতে প্রবেশ করে আমাকে গালাগালি দেয়। চাঁদা না দিলে কোনো ধরনের নির্মাণকাজ করতে দেবে না বলে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এ সময় কোনো চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এতে তারা আমাকে মাটিতে ফেলে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে আমার মামাতো ভাই আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেন।

তিনি আরও বলেন, তারা আমার এক ভাই ইমরান হোসেন সোহেলকে লোহার রড, চেইন দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। তারা আমার একটি শাওমি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়, যার দাম ৩৭ হাজার টাকা। ছোট ভাই আশরাফের কাছ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয়বার এলে আমি জীবন বাঁচাতে আমার লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি করি। ফলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে আজ সকালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করি।

আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাহিদুল মাহিদ/এনএ