নিখোঁজ জলিল ফিরতেই উদ্ধার অভিযান শেষ
আব্দুল জলিল
রাজশাহী নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকায় দেয়াল ধসে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে আসছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে হাসপাতালে। খোঁজ ছিল না কেবল আব্দুল জলিলের। অন্য শ্রমিকরা ধরেই নিয়েছিলেন, দেয়াল চাপায় তারও প্রাণ গেছে। দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযান চলে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত।
অভিযান প্রায় শেষপর্যায়ে। তখনই দৃশ্যপটে হাজির হন নিখোঁজ আব্দুল জলিল। এ নিয়ে অন্য শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্বস্তি পান উদ্ধারকারীরা। তখনই উদ্ধার অভিযান শেষ করে ফায়ার সার্ভিস।
বিজ্ঞাপন
আব্দুল জলিল জানান, উদ্ধার অভিযান চলাকালে তিনি আশপাশেই ছিলেন। তিনি জানতেন না তাকে নিখোঁজ ভেবেই উদ্ধার অভিযান চলছে। শেষের দিকে তিনি কোদাল-ডালি নিতে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে যান। তখনই শোরগোল পড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
আব্দুল জলিলের দাবি, তারা ১৭ জন সেখানে কাজ করছিলেন। যে দলটি বাইরের গর্ত খননে কাজ করছিল, সেই দলে তিনি ছিলেন। সেখানকার কেউ আহত হননি।
এদিকে উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন।
তিনি জানান, ভবনের ভিত্তি নির্মাণের জন্য গর্ত খনন চলছিল। সেখানে প্রায় ২৫ ফুট লম্বা দেয়াল ছিল। মাটি খননের একপর্যায়ে দেয়ালটি ধসে পড়ে। গর্তের মধ্যে ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চারজনকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
উদ্ধারকাজ চলাকালে শ্রমিক সর্দার আব্দুল কুদ্দুস জানান, ১৭ জন শ্রমিকের মধ্যে ১১ জন বাইরে আরেকটি গর্ত খননের কাজ করছিলেন। এই ১১ জন নিরাপদে ছিলেন। বাকি ছয়জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। অন্যদেরও সন্ধান মিলেছে। সকল শ্রমিকের সন্ধান পাওয়ার পর আমরা নিশ্চিত হই আর কেউ নিখোঁজ নেই। এরপরই উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর