শরীয়তপুরে ঘরে ঢুকে এক মাদরাসা ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাত ৯টায় শরীয়তপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড চরপালংয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম (২০) নামে এক তরুণকে আটক করে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাদরাসা ছাত্রী কাকলি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড চরপালং এলাকার নসিম উদ্দিনের মেয়ে। অন্যদিকে জাহিদুল ইসলাম মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের জাগির গ্রামের বাসিন্দা। ১০ বছর ধরে শরীয়তপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কারাভোগ গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। কাকলি ও জাহিদুল দুজনই শরীয়তপুর আলিয়া মাদরাসার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী সোমবার কাকলির বিয়ে। বৃহস্পতিবার কাকলি নিজ ঘরে মোবাইলে কথা বলছিল। হঠাৎ জাহিদুল ধারালো ছুরি দিয়ে কাকলিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন আসে।

কাকলীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় পাঠায়। জাহিদুলকে আশপাশের লোকজন আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পালং মডেল থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। জাহিদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী আহসান উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কাকলী তার ঘরে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। হঠাৎ জাহিদুল কাকলীর ঘরে ঢুকে ধারাল ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরিবারের লোকজন দৌড়ে কাকলীকে উদ্ধার করে ও জাহিদুলকে মারধর করে।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি