করোনা সংক্রমণ কমে আসায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে ফের পর্যটকদের পদচারণা বেড়েছে। টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে এসেছেন পর্যটকরা। 

শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকত লোকে লোকারণ্য। আনন্দ উচ্ছ্বাসে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার নিয়মও ভুলেছেন অনেকে। তবে উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের সান্নিধ্য নিতে সতর্ক থাকার জন্য পর্যটকদের বার বার পরামর্শ দিচ্ছেন লাইফ গার্ড সদস্যরা। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাইকিং করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত দুই মাস কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম কমে যায়। গত কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় সৈকতে ফের বেড়েছে পর্যটক। শুক্রবার দুপুর থেকে সাগরতীরে বেড়েছে পর্যটকদের পদচারণা।

গাজীপুর  থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক দম্পতি ফরহাদ ও মুনমুন আকতার তামান্না বলেন, কক্সবাজারে আসার কথা ছিল অনেক আগে । কিন্তু তখন দেশে আবারো করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আসা হয়নি। এখন একটু করোনা সংক্রমণ কম থাকায় এবং ১৯ মার্চ পর্যন্ত ছুটি পেয়ে পরিবারসহ ঘুরতে চলে এলাম।

সিলেট থেকে ঘুরতে আসা মরিয়ম আকতার জানান, ফেসবুক ও ইউটিউবে বিচ দেখেছি। বাবার তিন দিনের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজার সৈকতে চলে আসলাম। 

সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান বলেন, ঋতু পরিবর্তন হয়েছে। বেড়েছে সমুদ্রের ঢেউ। উত্তাল সাগরে নিয়ম মেনে গোসলে নামতে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে যেখানে পতাকা রয়েছে এবং লাইফ গার্ড কর্মীরা অবস্থান করছেন সেখানে গোসল করা নিরাপদ।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার কামাল জানান, কক্সবাজারে ২০০ থেকে ২৫০টি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ থেকে ১৯ মার্চের জন্য প্রায় ৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং রয়েছে। 

তিন দিনের ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পাঁচ লাখের বেশি পর্যটকের উপস্থিতি আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই তিন দিনে ৫০ কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্য হবে বলে আশা তাদের। 

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে আবারো পর্যটক সমাগম বেড়েছে। সৈকত ও পর্যটন স্পটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এরপরও কোথাও কেউ অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির শিকার হলে পুলিশ বক্স, তথ্যকেন্দ্র বা ট্যুরিস্ট পুলিশ ভবনে এসে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ করেন এই কর্মকর্তা। 

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর