নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। 

সোমবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জগামী যাত্রীরা মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে এসে ভিড় জমান। এ সময় ঘাটের ইজারাদারের লোকজন লঞ্চ বন্ধ রয়েছে বলে যাত্রীদের জানান।

ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে  বিআইডব্লিটিএ। কত দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে সেটা এখনো জানা যায়নি।

লঞ্চঘাটের ইজারাদার দীন মোহাম্মদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে লঞ্চঘাটে থাকা একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই রুটে ২৩টি লঞ্চ চলাচল করে। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে দেখা যায়, লঞ্চ টার্মিনালের পাশেই সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে লঞ্চগুলো। অন্যান্য সময় যে লঞ্চ টার্মিনাল লোক সমাগমে মুখর থাকত আজ সেখানে সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে।

লঞ্চঘাটে আসা নারায়ণগঞ্জগামী যাত্রী মর্জিনা বেগম বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ি নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকায়। বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে বোনের মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলাম। এখন আবার নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য লঞ্চঘাটে এসেছি। এখন দেখি লঞ্চ বন্ধ। এখন কী করব? ঘুরে গাড়ি দিয়ে যেতে সময় বেশি লাগে। 

সদর উপজেলার খালিস্ট এলাকার নুরুজ্জামান বলেন, নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার জন্য আসছিলাম। ঘাটে এসে দেখি লঞ্চ বন্ধ। তাই ফিরে যাচ্ছি। এই রুটে চলাচলকারী লঞ্চের ফিটনেস নেই। লঞ্চগুলো আকারে ছোট। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই অনভিজ্ঞ চালকদের দিয়ে চালানো হচ্ছে। যার কারণে আমরা মরছি আবার ভোগান্তিতে পড়ছি।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার রাত থেকেই এই রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। মূলত যাত্রী নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

ব.ম শামীম/এসপি