নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আটজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে আট আসামিকে বন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের সবার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় বন্দর থানায় বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক বাবুলাল বৈদ্য বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। 

আসামিরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদরের বেতগ্রাম দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে জাহাজের মাস্টার মো. রমজান আলী শেখ (৫৬), চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার মৃত সামসুল আলমের ছেলে মাস্টার মো. নুরুল আলম (৪৩), দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মো. আরিফুল ইসলাম (২৯), গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মো. নাদিম হোসেন (২৪), মাগুরার মহম্মদপুর থানার মো. মন্টু মোল্লার ছেলে লস্কর মো. সুমন হোসেন (২৪), চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার মো. একরামুল হকের ছেলে লস্কর মো. ইয়াসিন (২২), ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার মো. আব্দুর রউফের ছেলে সুকানি মো. জাহিদুল ইসলাম (২৪) ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে গ্রিজার মো. রিয়াদ হোসেন (২৩)। 

রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টা ২০মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চ এম এল আফসার উদ্দিন ডুবে যায়। সোমবার ভোরে লঞ্চটি উদ্ধার করে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এ সময় লঞ্চের ভেতরে কোনো মরাদেহ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দুই দিনে মোট আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।

রাজু আহমেদ/আরএআর/জেএস