সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বাবার জানাজা-দাফনে বাধা সন্তানদের
নোয়াখালীর চাটখিলে সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে আবদুল মান্নান (৭৫) নামে এক মৃত ব্যক্তির জানাজা ও মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছেন তার সন্তানরা। এরপর মরদেহ দাফন নিয়ে দিনভর নাটকীয়তার ২২ ঘণ্টা পর স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় মরদেহ দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের পশ্চিম হাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমে সন্তানদের সঙ্গে বারবার সমঝোতা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। শেষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মৃত ব্যক্তির স্বজনদের উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত আবদুল মান্নান কয়েক বছর আগে তার ছোট ছেলে আবুল কালাম, তার স্ত্রী জাহানারা বেগম ও সন্তানদের নামে ৩৯ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে লিখে দেন। এই নিয়ে তার অন্য ২ ছেলে ও ২ মেয়ের সঙ্গে তার চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে বৃদ্ধ আবদুল মান্নানের মৃত্যু হলে তার অপর ২ ছেলে ও ২ মেয়ে এবং নাতি-নাতনিরা তার মরদেহ দাফনে বাধা দেয়।
বিজ্ঞাপন
জানাজায় অংশ নিতে আসা সবাই এ ঘটনায় বিস্মিত হয়ে পড়েন। এরপর মৃত ব্যক্তিকে দ্রুত দাফন করতে দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু নানা অভিযোগ আর অজুহাতের কারণে তারা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি।
এতে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বাড়ির উঠানেই পড়ে ছিল আবদুল মান্নানের মরদেহ। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় মৃত ব্যক্তির জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
মৃত আবদুল মান্নানের ছোট ছেলের স্ত্রী জাহানারা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাবা ৩৯ শতাংশ জমি আমার স্বামী ও সন্তানদের রেজিস্ট্রি করে লিখে দেওয়ায় পরিবারের অন্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ ছিল। তারা নিষ্পত্তি চেয়ে মরদেহ দাফন করতে বাধা দেন। পরে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে মরদেহ দাফন করা হয়।
হাসিব আল আমিন/এনএ