বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) বাফার গুদামে ঢুকতে না দেওয়া ৭০ মেট্রিক টন টিএসপি সারের পুরোটাই ভেজাল বলে ল্যাব টেস্টে পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) তদন্ত কমিটি টিএসপির এমডির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সেখানে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

যশোর গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলাম জানান, ১৭ মার্চ ওই সার যশোর গুদামে এসে পৌঁছায়। সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে ছয়টি ট্রাকে করে ৭০ মেট্রিক টন সার গত ১৫ মার্চ রাতে যশোর সদরের বাহাদুরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত বাফার গুদামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় ট্রাকবোঝাই সার দেখে তার সন্দেহ হলে তিনি খালাস বন্ধ করে সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সন্দেহের বিষয়টি অবহিত করেন। ওই দিনই টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডে লিখিত আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রাকসহ সারগুলো জব্দ করার নির্দেশ দেয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা আপাতত সার খালাস না করে ট্রাকগুলো গুদামের বাইরে রাখার নির্দেশ দেন। 

তিনি বলেন, ২১ মার্চ টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি যশোরে এসে জব্দকৃত সারের নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের সার কারখানার পরীক্ষাগারে নিয়ে যান। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন টিএসপির উপ-প্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলাম। অন্য দুজন হলেন উপ-প্রধান হিসাবরক্ষক নির্মল কুমার দত্ত ও ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) শফিকুল ইসলাম।

টিএসপির উপ-প্রধান হিসাবরক্ষক ও তদন্ত কমিটির সদস্য নির্মল কুমার দত্ত বলেন, ল্যাব টেস্টে দেখা গেছে সব সারই ভেজাল। আমরা ধারণ করছি যোগসাজশ করে সড়ক থেকে আসল সার নামিয়ে এই ভেজাল সার উঠানো হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে টিএসপির এমডির কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। 

এ বিষয়ে টিএসপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান বলেন, গঠিত কমিটি আমার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তদন্ত কমিটির প্রধান টিএসপি কমপ্লেক্সের উপ-প্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলাম জানান, ল্যাব টেস্টে পুরো সারই ভেজাল পাওয়া গেছে। 

জাহিদ হাসান/আরএআর