বেনাপোল স্থলবন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষেরে ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে।

বেনাপোল হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা জানান, বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়ন নিয়ে শ্রমিকদের দুই পক্ষের বিরোধ ছিল দীর্ঘ দিনের। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান ও অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন পৌর কাউন্সিলর রাশেদ আলী। ওয়াহিদুজ্জামান পক্ষের সমর্থন দেন এমপি আফিল উদ্দিন। আর রাশেদ পক্ষের সমর্থন দেন পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। 

সোমবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর রাশেদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি দল বন্দরের সামনে আসে। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে বন্দর, কাস্টমসসহ আশপাশের শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দরকেন্দ্রিক দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।  তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর উভয়পক্ষ সরে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসপি) মামুন খান জানান, খবর পেয়ে বেনাপোল বন্দর এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। 

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, হ্যান্ডলিংক শ্রমিকদের সৃষ্ট গোলযোগের কারণে সকাল থেকে বন্দরের লোড-আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

জাহিদ হাসান/আরআই