খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. ইকবাল হোসেনকে মারপিটের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খুলনার পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন বলেন, সকালে ভুক্তভোগী ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে কয়রা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

জানা গেছে, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় সচিব ইকবাল হোসেনকে পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ কয়েকজন বেধড়ক মারপিট করছেন, এমন কথা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং ওসি তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে আসেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস সচিবের কাছ থেকে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝি হয়েছে এমন লিখিত নিয়ে পরিবারের সাথে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। 

পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খুলনার ৬৮ ইউনিয়নের সচিব ও হিসাব সহকারীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

এ ছাড়া ২৩ মার্চ খুলনা প্রেসক্লাবে সচিব সমিতি, খুলনার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি মো. জিয়ারাত হোসেন বলেন, কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আমাদের সহকর্মী ইউপি সচিব মাে. ইকবাল হােসেনকে সন্ত্রাসী কায়দায় বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক জখম করেছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি অবিলম্বে হামলাকারীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

অপরদিকে, এ ঘটনাটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অপপ্রচার দাবি করে কয়রা প্রেসক্লাবে ২৩ মার্চ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। 

মোহাম্মদ মিলন/আরআই