খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. ইকবাল হোসেনকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ চার ঘণ্টা পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে বিচারক মো. দেলোয়ার হোসেন তাকে জামিনে মুক্তি দেন।

কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কয়রা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে শত শত মানুষ আসরবাদ মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা পরিষদে গিয়ে অবস্থান করেন।

সোমবার সকালে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন।  

জানা গেছে, ২১ মার্চ সন্ধ্যায় সচিব ইকবাল হোসেনকে পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করেন। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ওসি তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে আসেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস সচিবের কাছ থেকে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এমন বক্তব্য লিখিত নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খুলনার ৬৮ ইউনিয়নের সচিব ও হিসাব সহকারীরা কর্মবিরতি পালন করেন এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।এছাড়া ২৩ মার্চ খুলনা প্রেসক্লাবে সচিব সমিতির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি মো. জিয়ারাত হোসেন বলেন, খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আমাদের সহকর্মী মাে. ইকবাল হােসেনকে সন্ত্রাসী কায়দায় বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক জখম করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি অবিলম্বে হামলাকারীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান তারা।

অপরদিকে ঘটনাটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অপপ্রচার দাবি করে কয়রা প্রেসক্লাবে ২৩ মার্চ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। 

মোহাম্মদ মিলন/এসপি