রাজশাহী নগরীতে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) বৈদ্যুতিক পোলে কাজ করছিলেন কর্মীরা। হঠাৎ তাতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে স্পৃষ্ট হয়ে খাম্বায় ঝুলে পড়েন দুই কর্মী। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরের দিকে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় সিভিল সার্জনের বাংলোর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই কর্মী হলেন আকবর আলী (৪০) ও শামিম হোসেন (৪৫)। দুজনেই রাজশাহীর কাটাখালী এলাকার বাসিন্দা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে শ্রীরামপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সম্প্রসারণে কাজ করছিলেন তারা।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর পাঠানপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক খাম্বায় শ্রমিক থাকা অবস্থায় সংযোগ চালু করে দেওয়া হয়েছিল। এতে রেজাউল ইসলাম নামে নেসকোর এক সহকারী মারা যান। এর চার মাসের মাথায় একই ধরনের ঘটনা ঘটল।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, দুই শ্রমিক ১১ হাজার কেভির সঞ্চালন লাইনের পোলে উঠে কাজ করছিলেন। কাজ করা অবস্থায় আচমকা বিদ্যুতায়িত হন। ওই সময় সেফটি বেল্টের কারণে খাম্বায় ঝুলে পড়েন তারা।

তাক্ষণিক স্থানীয়রা বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি। শেষে খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পোলে ঝুলন্ত আহত কর্মীদের নামিয়ে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নেসকোর রাজশাহীর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, যখন কাজ শুরু করেন, তখন ১১ হাজার কেভির এই বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু পরে আচমকা লাইনে বিদ্যুৎ চলে আস। এই দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নেসকোর রাজশাহীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিরিন ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনার পর বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তদন্তে একটি কমিটিও হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ৬ ডিসেম্বর নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক পোলে কাজ করছিলেন নেসকোর কর্মী রেজাউল ইসলাম। সেদিনও হঠাৎ লাইনে বিদ্যুৎ চলে আসে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নেসকোর ওই কর্মী মারা যান। চার মাসের মাথায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ