বরগুনায় স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মায়ের সামনে ব্যবসায়ী ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বখাটেরা। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে বরগুনা পৌর শহরের সোনাখালী শিপের খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী কাশেম একই এলাকার মৃত আবদুর রবের ছেলে। 

বিষয়টি শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাতে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ।

অভিযুক্ত বখাটেরা হলো- একই এলাকার লিটন বিশ্বাসের ছেলে বশির বিশ্বাস (২২), মজিবর বিশ্বাসের ছেলে নাঈম (২০) ও হাসান মাহমুদের ছেলে শাওন (১৯)।

জানা যায়, সোনাখালী বাজারে কাশেমের ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ২৯ মার্চ (মঙ্গলবার) সোনাখালীর কাশেমের দোকানের সামনে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরীকে রাস্তায় উত্যাক্ত করে বখাটে বশির। এ ঘটনা কাশেমের দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরে সিসি টিভিতে রেকর্ড হওয়া ঘটনা ওই কিশোরীর পরিবারকে দেখান এবং প্রতিবাদ করে ব্যবসায়ী কাশেম। 

এরপর থেকেই বখাটে বশির কাশেমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। অবশেষে আজ সকালে বশির ও তার সহযোগী নাইম ও শাওন কাশেমের ওপর হামলা চালায়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে ব্যবসায়ী কাশেম বাড়ি থেকে সোনাখালী বাজারে তার ইলেকট্রনিকসের দোকানে যাওয়ার সময় বশির, তার সহযোগী নাইম এবং শাওন লাঠি দিয়ে কাশেমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কাশেমের চিৎকার শুনে কাশেমের মা কহিনুর বেগম ছুটে আসেন। 

এ সময় কহিনুর বেগমের সামনেই এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বখাটেরা। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় কাশেমকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

কাশেমের মা কহিনুর বেগম বলেন, ছেলের চিৎকার শুনে আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখি ওরা (বশির, নাঈম, শাওন) আমার ছেলেকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে। আমি দৌড়ে কাছে গেলেও আমার সামনেই আমার ছেলেকে পিটিয়ে জখম করেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাং কালচার দমনে আমাদের অভিযান চলছে।

আরআই