বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পদ্মনগর। সেখানে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদ। মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ইজারা পদ্মনগর মসজিদ’ নামে। মূলত ইজারা ও পদ্মনগর দুই গ্রামের মানুষ নিয়মিত নামাজ আদায় করবেন বলে যৌথভাবে নামকরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (০১ এপ্রিল) জুমার নামাজের মধ্যদিয়ে মসজিদটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মনগর গ্রামের ব্যবসায়ী সরদার জাহিদুল ইসলাম নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। ইজারা ও পদ্মনগর দুই গ্রামের প্রধান মসজিদ এটি। আগের মসজিদটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালে মসজিদের জমিদাতা সরদার বজলুর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী সরদার জাহিদুল ইসলাম এখানে আধুনিক মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেন। অর্ধশতাধিক শ্রমিকের তিন বছরের চেষ্টায় মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। দুইতলা বিশিষ্ট মসজিদের অভ্যন্তরে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া বাইরে খোলা জায়গায়ও নামাজ আদায়ের সুযোগ রয়েছে।

মসজিদটির মেঝে করা হয়েছে মার্বেল পাথর দিয়ে। মূল ভবনের তিন পাশে লোহার গ্রিল দেওয়া হয়েছে। কাবার আদলে করা হয়েছে মসজিদের মেহরাব। মসজিদের পূর্ব এবং উত্তর পাশে রাস্তা এবং পশ্চিম পাশে পদ্মনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ এবং দক্ষিণ পাশে রয়েছে কবরস্থান। পূর্ব পাশে রাস্তার ওপারে ইসলামী পাঠাগার ও অজুখানা। মসজিদের অদূরে করা হয়েছে খাদেমুল ইসলাম পদ্মনগর মাদরাসা ও এতিমখানা। যেখানে হিফজ ও কওমি শিক্ষা চালু রয়েছে। বর্তমানে মাদরাসাটিতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

খাদেমুল ইসলাম পদ্মনগর মাদরাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মুফতি মাওলানা ইমরান হোসাইন বলেন, অনেক দিনের পুরাতন মসজিদটিকে আধুনিকমানের করে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে মাদরাসায় গরিব ও এতিম শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

ব্যবসায়ী সরদার জাহিদুল ইসলাম বলেন, মূলত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এলাকার মানুষের উপকারে এই মসজিদ নির্মাণ করেছি। কত টাকা কী ব্যয় হয়েছে, সে বিষয়ে হিসাব রাখার প্রয়োজন মনে করিনি। আধুনিক স্থাপত্য বিদ্যার সঙ্গে মুসলিম ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে তৈরি এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে। এই মসজিদকে কেন্দ্র করে এখানে ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার উদ্যোগও নেওয়া হবে।

তানজীম আহমেদ/এসপি