কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কয়েলের আগুনে আট পরিবারের ১২ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (০১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গোয়ালঘরে মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, গহনা, ফসল, নগদ টাকা, গবাদি পশুসহ প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ২টার দিকে লুৎফর রহমানের গোয়ালঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং পরে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান কামাল বলেন, রাত ২টার দিকে গোয়ালঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের আড়াই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আটটি পরিবার একবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত লুৎফর রহমান বলেন, আগুনে আমার ঘরবাড়ি, গোয়ালঘর, রান্নাঘর, একটি গরু, তিনটি ছাগল, নগদ ৪০ হাজার টাকা, গহনা, আসবাবপত্রসহ সব পুড়ে গেছে। এখন আমি নিঃস্ব। 

ক্ষতিগ্রস্ত গরু ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন বলেন, নগদ দেড় লাখ টাকাসহ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে সর্বস্বান্ত আমি। 

পান ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেন, এক বেলা রান্না করার মতোও কিছুই নেই আমার। খোলা আকাশ ছাড়া কিছুই চোখে পড়ছে না।

যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আগুনের খবর পেয়ে রাতেই গিয়েছিলাম। আটটি পরিবার একদম নিঃস্ব হয়ে গেছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো হবে।

কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে, গোয়ালঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। সরকারি সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।

রাজু আহমেদ/এসপি