মাসখানেক আগে গাইবান্ধায় নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন শহরবানু (৪০)। এরপর তাকে খুঁজে পায়নি তার পরিবার। এত দিন পর শহরবানুকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানা পুলিশ।

নিখোঁজ মোসা. শহরবানু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের কৌচা কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ছানা মিয়ার স্ত্রী।

নিখোঁজ শহরবানুর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাচোল থানা পুলিশ গত ২৯ মার্চ সকাল ৮টায় শহরবানুকে নাচোল বাসস্ট্যান্ড মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করে। এ সময় তাকে নাচোল বাসস্ট্যান্ড এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী বিলকিসের হেফাজতে রাখে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন উপায়ে নিখোঁজ শহরবানুর পরিবারকেও খুঁজতে থাকে পুলিশ। তিন দিন খোঁজার পর সন্ধান মিলে তার পরিবারের। শনিবার (২ এপ্রিল) শহরবানুকে তার ছেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মাকে নিতে নাচোল থানায় উপস্থিত হন শহরবানুর ছেলে মো. সবুজ ইসলাম (২৫)। তিনি মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। এক মাস আগে কৌচা কৃষ্ণপুর গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে হারিয়ে যান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মায়ের কোনো সন্ধান পাইনি। গতকাল হঠাৎ নাচোল থানা পুলিশ আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে মাকে উদ্ধারের বিষয়টি জানায়। পরে শনিবার মাকে আমার কাছে হস্তান্তর করে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও একবার আমার মা হারিয়ে গিয়েছিলেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা ও নানি চিকিৎসা নিতে গেলে পথ ভুলে তিনি হারিয়ে যান। সাত দিন পর নওগাঁর ধামইরহাট এলাকায় মাকে খুঁজে পাই। আজ পুলিশের সহায়তায় মাকে পেয়েছি। পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, গত ২৯ মার্চ নাচোল বাসস্ট্যান্ড থেকে শহরবানুকে উদ্ধারের পর তার পরিবারের খোঁজ করতে শুরু করে পুলিশ। এরপর গোবিন্দগঞ্জ থানায় যোগাযোগের মাধ্যমে তার পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়ে নিশ্চিত হয়ে শহরবানুকে তার ছেলে সবুজের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মো. জাহাঙ্গীর আলম/এনএ