নওগাঁয় নার্সিং ইনস্টিটিউটে ৭ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
নওগাঁয় নার্সিং ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা চালাকালীন অসদুপায় (নকল) অবলম্বন করায় সাত পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নওগাঁ জেলা জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
রোববার (৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ নার্সিং ইনস্টিটিউটে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলীম উল্লাহ খান তাদের বহিষ্কার করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার নওগাঁ নার্সিং ইনস্টিটিউটে সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ তিনটি ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা চলছিল। যেখানে নওগাঁ নার্সিং ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং তৃতীয় বর্ষের ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীরা অসদুপায় অবলম্বন করছেন, এনএসআইয়ের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলীম উল্লাহ খান। এ সময় সাত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নকল উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি তিন ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ইনস্টিটিউটের চার শিক্ষার্থী রয়েছেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের নীতিমালার মাত্রা বিবেচনায় অসদুপায়ের দ্বিতীয় স্তরের দণ্ড অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র বহাল রেখে পরীক্ষার হল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে সতর্ক করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নওগাঁ নার্সিং ইনস্টিটিউট ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আমজাদ হোসেন বলেন, মোট পরীক্ষার্থী ১৮৫ জন। এর মধ্যে রোববার দুটি ব্যাচে ১০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে নার্সিংয়ের ৭৮ জন এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের ২৫ জন। নার্সিংয়ের সাইকেটিস এবং মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীদের আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স পরীক্ষা হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার হলের যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের অবশ্যই গাফিলতি রয়েছে। যদি গাফিলতি না থাকত, তাহলে তো এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। দায়িত্বরত শিক্ষকদের অবশ্যই ব্যর্থতা রয়েছে। তারা আরও ভালো করে ডিউটি করতে পারতেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলীম উল্লাহ খান বলেন, প্রতিষ্ঠানপ্রধানসহ হলের দায়িত্বরত শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। আগামীতে যদি পুনরায় এ ধরনের কার্যক্রম ধরা পড়ে, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মো. দেলোয়ার হোসেন/এনএ