বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস-কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদকসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৪ এপ্রিল) সিটি করপোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ড বসুন্ধরা হাউজিং এলাকায় ইফতারির কিছুক্ষণ আগে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার বাড়িসহ আরও তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।

আহত শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুমন মোল্লা ও তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত আল আমিনকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুমন মোল্লার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, কি নিয়ে ঘটনা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ মুহূর্তে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সুমন মোল্লার স্ত্রী আইরিন আক্তার দাবি করেন, সন্ধ্যায় ইফতার করার জন্য সুমন মোল্লা রূপাতলী বসুন্ধরা হাউজিংয়ের বাড়িতে আসেন। ইফতারির ৬-৭ মিনিট আগে বাড়িতে প্রবেশ করার সময় ২৫-৩০ জন অস্ত্রধারী তাকে ধরে নিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে কোপাতে থাকে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আল আমিন তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।

২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন সুমন মোল্লার স্ত্রী আইরিন। তার অভিযোগ করেন, মেয়রের নির্দেশে তার লোকেরাই এ হামলা করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর সাইদুর রহমান জাকির বলেন, সুমন মোল্লার বাসার সামনে ভিড় দেখে সেখানে যাই। আমি কারও ওপর হামলা করিনি। এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।

বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস-কোচ শ্রমিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, আমরা আজ রূপাতলী এলাকায় যাইনি। তাই এটা কারা করেছে সে ব্যাপারে কিছুই জানি না। কেউ অভিযোগ করলেই সেটা সত্য হয়ে যায় না। ওখানে কি ঘটেছে সেটা আমাদের জানা নেই।

মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  বাসস্ট্যান্ডসহ ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।

এর আগে শনিবার ও রোববার দুই দফায় শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি সুলতান মাহমুদসহ ১৮ জনকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ করা হয়। সুলতান মাহমুদ অভিযোগ করেন, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশে এ হামলা হয়েছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসএসএইচ