শাল্লায় বাঁধ রক্ষায় লড়ছে হাজারো মানুষ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের খল্লি গ্রামের উত্তরপাশে ছায়ার হাওর উপ-প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা ৯০ নম্বর পিআইসির বাঁধে ধস নেমেছে। বাঁধের নিচ দিয়ে বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে হঠাৎ পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজারো মানুষ ছুটে আসে। স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধে মাটি ফেলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামের নারী ও শিশু শিক্ষার্থীরা। হাজারো মানুষের প্রাণপণ চেষ্টায় কোনো রকমে বাঁধটি টিকে রয়েছে।
তবে কৃষকরা বলছেন, এই বাঁধ বৃষ্টি হলে আর রক্ষা করা যাবে না। ছায়ার হাওরে তিনটি জেলার হাজার হাজার হেক্টর বোরো জমি রয়েছে। দুর্বল ওই বাঁধের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে খল্লি গ্রামের বিধান চন্দ্র দাস বলেন, প্রথমে শিমুল নামে একটি ছেলে চিল্লানি দিয়া কইছে। পরে আমি গিয়া বাঁধের ভাঙন বন্ধ করতে কাজে লাগছি। এরপর খবর পেয়ে হাজার হাজার মানুষ আইয়া বাঁধে কাজ করছে।
খল্লি গ্রামের বাসিন্দা শৈলেন দাস বলেন, গত দুই দিন ধরে বাঁধের নিচ দিয়ে একটু একটু করে পানি ঢুকছিল। আজ আমরা দেখতে পাই পানি ঢুকতেছে। এই বাঁধ ভাঙলে ছায়ার হাওর তলিয়ে যাবে। ছায়ার হাওরে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জ জেলার হাজার হাজার মানুষের জমি আছে। ওই পিআইসির বাঁধ দুর্বল ও বালু মিশ্রিত মাটি দিয়ে তৈরি হওয়ায় বাঁধে ফাটল ধরে নিচ দিয়ে পানি ঢুকছিল।
বিজ্ঞাপন
একই গ্রামের চন্দ্রকান্ত দাস ও বিজিত দাস বলেন, আমরা বাঁধে মাটি না ফেললে এতক্ষণে বাঁধ ভেঙে হাওর তলাইয়া যাইত। ৯০ নম্বর পিআইসির ৩৭০ মিটার বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ১৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, আমরা কাজ করছি। আপাতত কোনো ঝুঁকি নেই। মাটি কাটার জন্য এক্সভেটর মেশিন আনা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সাইদুর রহমান আসাদ/আরএআর