পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, হাওরে বাঁধের কাজে অনিয়ম হলে কোনো ছাড় নেই। অনিয়ম ও সঠিক সময়ে কাজ না করায় গত তিন বছরে ২২ জন প্রথম শ্রেণির পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করেছি। 

তিনি বলেন, হাওরে প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রে ও প্রকল্প শেষ করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই আমরা। এ বিষয়ে আমাদের শক্তিশালী একটি ট্রাস্কফোর্সের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তারপরও এখানে যেহেতু একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে রোববার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ে গিয়ে একটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করে দেব। তারা এখানে সুষ্ঠু তদন্ত করবে। সেখানে দোষী যেই পর্যায়ের কর্মকর্তাই হোক, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ভেঙে যাওয়া ডুবাইলের বাঁধ পরিদর্শন শেষে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১ তারিখ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ১২০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটছে। বর্ষা আসলেই হাওরাঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ আতংকে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। করোনার মাঝেও আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভ থেমে নেই। 

এনামুল হক শামীম বলেন, গত একনেকেও আমাদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা সুনামগঞ্জ জেলাকে স্থানীয়ভাবে কীভাবে কাজ করা যায় সে চিন্তা করছি। স্থায়ী প্রকল্পের পরিকল্পনা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। দুটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো হাওর এলাকাকে আমরা স্থায়ী প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসব। তাহলে স্থায়ীভাবে প্রতিবছর এখানকার কৃষকরা হাসিমুখে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। কৃষক-শ্রমিকের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। 
ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সহযোগিতা করা হবে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।

এ সময় সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. ফজলুর রশিদ, পাউবোর উত্তর-পূর্বাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহীদুল ইসলাম, সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রবীর কুমার গৌস্বামী, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

সাইদুর রহমান আসাদ/আরএআর