মৃত ব্যক্তির পেনশন আত্মসাৎ, চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনায় জালিয়াতির মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির পেনশনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উঠেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মাতুব্বর ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান নসার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলায় মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য জন্য গোয়েন্দা শাখায় পাঠিয়েছেন বরগুনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম।
বিজ্ঞাপন
বাদীপক্ষের আইনজীবী সেলিম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৪ এপ্রিল মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগীর ভাই জলিল আকন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করতেন জলিলের ভাই একই এলাকার মোহাম্মদ বাহাদুর। গত বছরের ১২ এপ্রিল তিনি ক্যান্সারে মারা যান। বাহাদুর অবিবাহিত থাকায় তার সব ভাইদের ওয়ারিশ সার্টিফিকেট পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বছরের ৩০ মে বাহাদুরের আরেক ভাই সিরাজ উদ্দিনকে ইউপি সদস্যদের সুপারিশে ভুয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট প্রদান করেন তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মাতুব্বর।
বিজ্ঞাপন
ওয়ারিশের তালিকা থেকে বাদ পড়েন ভাই জলিল আকন, আইউব আলী, আফজাল আকন, আবদুল হক, আবদুল কালাম ও মো. ছত্তার।
এমনকি ওয়ারিশ অপর ভাইদের স্বাক্ষর জাল করে কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান নসার কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তান্তর (এটর্নি পাওয়ার) নেন সিরাজ উদ্দিন। এরপর তার মৃত ভাইয়ের কর্মস্থলে ভুয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ও এটর্নি দেখিয়ে বাহাদুরের প্রথম পর্যায়ের ৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে গত ৪ এপ্রিল বরগুনা আদালতে ভাইদের পক্ষ হয়ে জালিয়াতি মামলা করেন জলিল আকন। এতে সিরাজ উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান নসা ও হানিফ মাতুব্বরসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী জলিল আকন বলেন, বড় ভাই আমাদের সঙ্গে জালিয়াতি করে মৃত ভাইয়ের পেনশনের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় হানিফ মাতুব্বর, নসা চেয়ারম্যান, কাইয়ুম মেম্বারসহ কয়েকজন সরাসরি সহযোগিতা করেছে। তাই অন্য ভাইদের পক্ষে আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। আশা করছি আমরা ন্যায় বিচার পাব।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী সেলিম হোসেন বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা অফিসে পাঠিয়েছেন।
খান নাঈম/এমএইচএস