টিকাকেন্দ্রে জাবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, গ্রেপ্তার ৩
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে রেড ক্রিসেন্টের তিন স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাদের সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাভারের কাতলাপুরের অশোক কুমার দাসের ছেলে অর্ঘ্য অর্পণ দাস (২১), সাভারের ব্যাংক কলোনির এলাকার শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মো. আকিব হোসেন নুর (১৯) ও একই এলাকার আসাদুল হকের ছেলে মো. সাব্বির হোসেন (২২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দুপুর ১টার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা টিকাকেন্দ্রে টিকা নিতে যান জাবি শিক্ষার্থী ইমন ও মাজেদ। দুপুর ১টার দিকে টিকা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় জাবি শিক্ষার্থী ইমন ও মাজেদ লাইনে দাঁড়ানো টিকা প্রত্যাশীদের টিকা দিয়ে কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ জানান। এ প্রস্তাবে টিকা দেওয়া কর্মীরা রাজি না হলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক মিলে ইমন ও মাজেদকে মারধর করেন। পরে তাদের সাভার মডেল থানায় নিয়ে যান তারা। সেখান থেকে ইমন ও মাজেদকে অসুস্থ অবস্থায় সাভারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এর জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় জড়িতরা মূলত স্বেচ্ছাসেবক, তারা সরকারি কর্মী নয়। তাৎক্ষণিকভাবে রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসা হয়েছিল। কিন্তু কোনো মীমাংসা হয়নি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কৃর্তৃপক্ষ ও উপচার্যের আদেশে আমি নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম শাহারিয়ার বলেন, গতরাতে মামলা দায়ের হলে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় তিনজনসহ আরও অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মাহিদুল মাহিদ/আরএআর