সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আকষ্মিক পরিদর্শনে গিয়ে নানা অনিয়ম পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে না আসা, ক্লাস বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ে বসে চুলের বেণি বাধাঁ, উকুন তোলাসহ ইউএনওর পরিদর্শনে উঠে আসা নানা অনিয়মের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মতো ১০ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শো'কজ) দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. উজ্জল হোসেন

এর আগে গত ৭ ও ৯ এপ্রিল উল্লাপাড়ার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পান বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল ‘ক্লাস বন্ধ রেখে উকুন তুলছেন শিক্ষিকা, হঠাৎ পরিদর্শনে ইউএন’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

সোমবার (১১ এপ্রিল) উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল মাহমুদ রানীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের সর্বমোট ১০ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছেন।

দুই দিন পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, কিছু বিদ্যালয়ের বেলা ১০টার পরও বেশির ভাগ শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। উপজেলার রানীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি দেখতে পান, এক নারী শিক্ষক অন্য এক নারীর সহযোগিতায় মাথার চুলের বেণি বেঁধে নিচ্ছেন ও উকুন তুলে নিচ্ছেন।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আমার নির্দেশনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ উল্লিখিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, আমি মনে করছি, সামনের দিনগুলোতে এখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের পেশাগত কাজে আরও দায়িত্বশীল ও আন্তরিক হবেন। স্কুলগুলোতে সৃষ্টি হবে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ।

তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল মাহমুদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরআই