মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হতদরিদ্র অন্তরা খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। সোমবার (১১ এপ্রিল) নিজ দপ্তরে অদম্য মেধাবী অন্তরার হাতে নগদ তুলে দেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্তরা খাতুনের মা রওশন আরা বেগম, জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা।

অন্তরা খাতুনের পরিবারকে মুজিব শতবর্ষের আধা পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।

অন্তরা খাতুন জেলার বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুর এলাকার আলাউদ্দিনের মেয়ে। তার জন্মের দুই বছরের মাথায় দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বাবা। এ সময় ঝিয়ের কাজ করে কোনো রকমে সংসারের হাল ধরনের মা রওশন আরা বেগম। অর্থাভাবে ছেলে সোহেল রানাকে পড়াশোনা করাতে পারেননি তিনি। কিন্তু কষ্ট করে মেয়েকে পড়িয়েছেন।

রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করে ছেলে সোহেল রানাও মায়ের পাশে দাঁড়ান। পড়ালেখার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়ানো এমনকি সেলাইয়ের কাজ করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন অন্তরা। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অন্তরা সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। 

কিন্তু অর্থাভাবে মেয়েকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েন রওশন আরা।খবর পেয়ে রোববার অন্তরার বাড়িতে যান র‌্যাব-৫ এর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মারুফ হোসেন খান। তিনি অধিনায়কের পক্ষ থেকে অন্তরার হাতে ভর্তির যাবতীয় খরচের অর্থ তুলে দেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি