সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের সকল সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আলমগীর মোহাম্মাদ মনছুরুল আলম এ আদেশ দেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম মণ্ডল ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

চিঠিটি মঙ্গলবার বিকেলে উল্লাপাড়া অফিসে এসে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। বদলি করা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা হলেন- মো. আল মাহমুদ,  রবিউল করিম, ইশরাত জাহান ওরেসি, আনিসুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, আবু সাঈদ ও আশরাফ আলী।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আল মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বদলির আদেশের একটি কপি এসেছে বলে সন্ধ্যার দিকে জেনেছি। তবে কাকে কোথায় দেওয়া হয়েছে সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তাদেরকে উল্লাপাড়া থেকে সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মণ্ডল ঢাকা পোস্টকে জানান, গত ৭ ও ৯ এপ্রিল উল্লাপাড়ার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষককে অনুপস্থিত পান।

এছাড়াও কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষিকাকে স্কুলের বারান্দায় বসে অন্য নারীর সহযোগিতায় চুলের বেণি বেঁধে নিতে ও উকুন বেছে নিতে দেখেন। ইউএনও বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে নিজেও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মাদ মনছুরুল আলম উল্লাপাড়ার সকল সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দেন। 

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, উল্লাপাড়ায় সাত জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্মরত ছিলেন। এখানে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আল মাহমুদ ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। 

উল্লাপাড়ায় মোট ২৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে বদলি হওয়া সবাইকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার (১১ এপ্রিল) একই ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল মাহমুদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় রানীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের মোট ১০ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর