পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাসকে হত্যার হুমকি ও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক ফজলুল হক ফরহাদ (৪০) ও কাউন্সিলর তাজুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে পাংশা উপজেলা শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান।

গ্রেপ্তার ফজলুল হক ফরহাদ পাংশা পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

গত বছরের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পাংশা পৌরসভা নির্বাচনে ফরহাদ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এদিকে তাজুল ইসলাম পাংশা পৌরসভার কুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং পাংশা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন বিশ্বাসের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রাণনাশের হুমকি দেন স্থানীয় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ফজলুল হক ফরহাদ ও পাংশ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. তাজুল ইসলাম।

এ ঘটনায় সোমবার জালাল বিশ্বাস নিজে বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় ফরহাদ ও তাজুলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, তিনি জেলা পরিষদ থেকে পাঁচ শতাংশ জমি ইজারা নিয়ে ঘর তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ জন্য ফরহাদ ও তাজুল তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি ইতিমধ্যে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

 গত ১১ এপ্রিল ফরহাদ ও তাজুলসহ আরও কয়েকজন তার উপজেলা অফিস কক্ষে এসে বাকি টাকা না দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় তাজুল তার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়েছেন বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন। ওই ঘটনার পরদিন অর্থাৎ গতকাল তিনি অফিস কক্ষে ছিলেন না। এ সুযোগে ফরহাদ, তাজুল ও তাদের সহযোগীরা এসে তার কক্ষ দখল করে এবং পুরো কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজি, প্রাণনাশের হুমকি ও অফিসকক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগে ফরহাদ ও তাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ (বুধবার) গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ফরহাদ ও তাজুলের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। 

মীর সামসুজ্জামান/আরআই