প্রায় দুই বছর পর ভারত, ভুটান ও নেপালে যাওয়ার একমাত্র পথ লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ভ্রমণসহ সব ভিসাধারীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িমারী স্থলবন্দরের অভিবাসন পুলিশে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, গতকাল বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত উভয় দেশের প্রায় ৬০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, ভুটান ও নেপালে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ অভিবাসন চৌকি দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই দেশের যাত্রী পারাপার করতে পারবেন।

বুড়িমারী অভিবাসন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর এ স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণ ভিসায় যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ভারতের ওপারের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরের অভিবাসন পুলিশে উপপরিদর্শক (এসআই) সমীর শামাং এই পথে ২০২২ সালে যেসব ভিসা অনুমোদন পাবে ও ওই ভিসায় চ্যাংরাবান্ধা পথ যাদের উল্লেখ থাকবে, তারা এ পথ ব্যবহার করে ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।

একইভাবে ভারতীয় ভিসাধারীরাও এ পথে যাতায়াত করতে পারবে বলে তিনি জানান। প্রথম দিনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উভয় দেশের ২৫ জন যাত্রী পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ১০ জন ছিল।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর ভ্রমণ ভিসাধারীদের এ পুলিশ অভিবাসনচৌকি দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল। এতে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রামের পাসপোর্ট যাত্রীদের ভারতে প্রবেশের কষ্ট কর ছিল। এদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এ অভিবাসনচৌকি খুলে দেওয়ার খবর পেয়ে স্বস্তি মিলেছে ভ্রমণ ও ভারতে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের।

কুড়িগ্রামে পাসপোর্টধারী যাত্রী রুপম শাহরিয়ার কবির বলেন, চিকিৎসককে দেখাতে ভারতে যাওয়ার জন্য অনেক দিন থেকেই চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভিসা বন্ধ থাকায় যেতে পারিনি। দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছি। চেকপোস্ট খুলে দেওয়ায় ভারতে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে পারব।

তা ছাড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী রাশেদ হোসেন বলেন, এ অভিবাসনচৌকি দিয়ে সব ভিসাধারীর যাতায়াতের পথ খুলে দেওয়ায় এ স্থলবন্দরটির প্রাণচঞ্চলতা ফিরে পেয়েছে। কেননা, এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন উভয় দেশে পাঁচ শতাধিক মানুষ চলাচল করে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের অভিবাসন পুলিশে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে এ স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাচৌকি (আইসিপি) দিয়ে ওপারের ভারতীয় চাংরাবান্ধা ভারতীয় অভিবাসন পুলিশের ভ্রমণ ভিসাধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবে।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এনএ