প্রেমঘটিত বিয়ে ও সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে দুপক্ষের সংঘর্ষে আলতাফ বিশ্বাস (৬৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আলতাফ বিশ্বাস ৯ নং ওয়ার্ডের বেড়বিন্নি গ্রামের মৃত নকিম উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।

নিহতের বড় ছেলে ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের মঞ্জুর মেয়ে ঋতু ও পাশের শেখপাড়া গ্রামের বিল্লালের ভাগ্নে জীবন প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের ১৫/২০ দিন পর ঋতুকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার। এ সময় ওদের পরিবার ও গ্রামের লোকজন ঋতুকে শাসন করে বাড়িতে আটকে রাখে।

এরপর ঋতু বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে আবারো জীবনের বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনার পর থেকে দুই গ্রামের মধ্যে গোলযোগের শুরু হয়। আজ সকালে ওই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা করে। এ সময় আমার বাবা ঠেকাতে গেলে তাকে হাতুড়ি দিয়ে মারপিট করে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা মারা যান।

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ফাল্গুনী রানী সাহা বলেন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা থেকে মারামারির ঘটনায় তিনজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তাদের মধ্যে আলতাফ হোসেনের অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বাকি দুজন আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।

হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেড়বিন্নি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও শেখপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এক সপ্তাহ আগে দুপুরে বেড়বিন্নি বাজারে শহিদুলের সমর্থক বিজু ও বকুলকে মারধর করে সিরাজুলের লোকজন।

এরই জের ধরে আজ সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আহত হয় ১০ জন। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলতাফ হোসেন নামে একজন  মারা গেছেন। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এসপি