মুন্সিগঞ্জ সদরে একটি কারেন্ট জাল ফ্যাক্টরিতে অভিযানের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের ছয় কর্মকর্তাসহ সাতজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। রোববার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের মালিরপাথর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান, মো. খসরু, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাকির হোসেন, পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাম্মেল হক ও কনস্টেবল রায়হান হোসেন। এদের মধ্যে নজরুল, ফরিদুজ্জামান ও রায়হানকে গুরুতর অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ড. শৈবাল বসাক বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ছয় পুলিশ সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। আহতদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ১১টার দিকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, এলাকায় ডাকাত পড়েছে। ডাকাতের খবর শুনে স্থানীয় লোকজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। পরে জানতে পারি, ইমরান ও তার ভাই সম্রাটদের কারেন্ট জাল ফ্যাক্টরিতে পুলিশ অভিযানে এসেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়ে নিজ নিজ ঘরে চলে যায়। পরে ইমরান-সম্রাটদের লোকজন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করে। শুনেছি পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার নিরীহ কোনো মানুষ জড়িত ছিল না। 

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাজিব খান জানান, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে রোববার দিবাগত রাতে মালিপাথর এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। সে সময় জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমরান ও তার ভাই সম্রাট অবৈধ কারেন্ট জাল তৈরি করছে। পুলিশ ওই ফ্যাক্টরির অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করতে অভিযান শুরু করে। 

এ সময় এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে বলে মসজিদের মাইকে প্রচার করে ইমরানরা। পরে ইউপি সদস্য ইমরান ও তার ভাই সম্রাটের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশের সাতজন আহত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরবর্তীতে আমাদের জানালে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ব.ম শামীম/এসপি