নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আনসার সদস্যদের মধ্যে ঈদের আগে পোকা ধরা আতব চাল বিতরণের অভিযোগে রংপুরের সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট রাসেল আহমেদকে স্টোর ও রেশন কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতে জেলা কমান্ড্যান্ট হাফিজ আল মোহাম্মদ গাদ্দাফী স্বাক্ষরিত আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

একই সঙ্গে ওই আদেশে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রংপুর সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে জেলা স্টোর এবং রেশন সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে ২ হাজার ৬৮০ কেজি আতপ চাল আসে রংপুরে। নির্দেশনা অনুযায়ী বিতরণ করা হয় মাত্র ৫০০ কেজি চাল। নিয়মবহির্ভূত এক বছরের চাহিদায় প্রয়োজনের চেয়ে চার বছরের অতিরিক্ত চাল আসায় রংপুর জেলার রেশন স্টোরে ২ হাজার ১০০ কেজিরও বেশি চাল রয়ে যায়।

সূত্র বলছে, আনসার সদস্যের পারিবারিক রেশন সামগ্রীর মধ্যে পাঁচ পর্বে আতপ চালের প্রয়োজন ছিল ৫৩৩ কেজি। কিন্তু রংপুর জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় থেকে চাহিদা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ২ হাজার ৬৬৮ কেজি। যা দিয়ে প্রায় পাঁচ বছরের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। জেলার চাহিদার প্রেক্ষিতে ২ হাজার ১৪৭ কেজি আতব চাল বেশি আসে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি এই চাল পরে রেশন স্টোরে রাখা হয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে সঙ্গে সঙ্গেই প্রধান কার্যালয় থেকে শোকজ করা হয় জেলা কার্যালয়কে। এর জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান জেলা সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট রাসেল আহমেদ। এই চাল বিক্রি করে নতুন চাল কেনার শর্তে ক্ষমা করা হয় তাকে। কিন্তু ক্ষমার শর্ত  
ও নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে দীর্ঘ এক বছর স্টোরে ফেলে রেখে সেই পুরোনা চালই বিতরণ শুরু করেন এই কর্মকর্তা।

যা নিয়ে গত ২০ এপ্রিল ‘রংপুরে পোকা ধরা আতপ চাল দেওয়া হয়েছে আনসার সদস্যদের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট ডটকম। তদন্তে নেমে অভিযোগের সত্যতা পায় কর্তৃপক্ষ।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই