ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিহত শিক্ষার্থী মাহবুব আলমের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তির সন্ধান চেয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে। কুষ্টিয়া পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান ইতোমধ্যে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত ৫শ পোস্টার লাগিয়েছেন। তিনি ঢাবি শিক্ষার্থী মাহবুব আলম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাতে কুষ্টিয়া পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাবির নিহত শিক্ষার্থী মাহবুবের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সন্ধান চেয়ে ইতোমধ্যে পাঁচশ পোস্টার লাগানো হয়েছে। আরও তিনশ পোস্টার লাগানো হবে। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত যেসব স্টেশনে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন থামে। সেসব স্টেশনে এসব পোস্টার লাগানো হয়েছে। আরও কিছু পোস্টার আছে, সেগুলো খুলনা পর্যন্ত লাগানো হবে।

তিনি বলেন, আদালত এই তদন্তের জন্য কিছু সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে না পারলে আবারও নতুন করে সময় দেবেন। অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে খোঁজার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ সকালে কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ সেতুর নিচ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাহবুব আলমের মরদেহ উদ্ধার করে পোড়াদহ রেলওয়ে থানা পুলিশ। ওইদিন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মাহবুব আলমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মাহবুব আলম দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে প্রচার করা হয়। তবে সেসময় মাহবুব আলমের আত্মীয়-স্বজন ও সহপাঠীরা কেউই তা বিশ্বাস করতে পারেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। সহপাঠী ও পরিবারের সদস্যসহ অনেকের কাছে তার মৃত্যু রহস্যজনক বলে মনে হয়। মরদেহ দাফনের পর মাহবুব আলমের বাবা আব্দুল হান্নান মিঠু বাদী হয়ে ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার পোড়াদহ রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। এরপর মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামানকে নির্দেশ দেন আদালত।

নিহত মাহবুব আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ১০০৬ নম্বর কক্ষে থাকতেন। মা-বাবার একমাত্র ছেলে সন্তান ছিল মাহবুব। তার ছোট আরেকটি বোন রয়েছে।

চম্পক কুমার/আরএআর