শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে খাবার খেয়ে মাদরাসার ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা সকালের খাবারের পর এ ঘটনা ঘটে।

মো. ইব্রাহিম (৮), মো. আব্দুর রহমান (১১), মো.আবু বক্কর (১০), মো. সিয়াম (৭) ও মাহফুজ (১০) বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সবাই উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের বড় কালীনগর বড়কাঁচনা এলাকার 'আনন্দ বাজার ইসলামিয়া কওমিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থী। তারা হেফজ ও নূরানী বিভাগে পড়ে। 

স্থানীয় ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য মুররির মাংস ও ডাল রান্না করা হয়। সোমবার সকালে শিশুরা ওই রান্না করা খাবার খায়। এর এক ঘণ্টা পরই ১৫ ছাত্রের বমি ও পেটব্যথা শুরু হয়। পরে তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৫ জনকে ভর্তি করা হয়।

গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত গরম পড়েছে। বাসী খাবার খাওয়ানোর জন্য হয়তো তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে বিষয়টি জটিল নয়। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী মো. সিয়াম জানায়, নিয়ম অনুযায়ী সকালে আমরা মাদরাসায় খাবার খাই। খাওয়া দাওয়া করে আমরা পরীক্ষা দেই। হঠাৎ পরীক্ষার হলেই বমি ও পেটব্যথা শুরু হলে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে আমাদের হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়।

মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালের খাবার খেয়ে সকলেই পরীক্ষা দেওয়া জন্য রুমে আসে। কিছু সময় পর তারা সবাই একসঙ্গে বমি ও পেটব্যথা শুরু হয়। এখন তারা ভালো আছে।

গোসাইরহাট থানার ওসি তদন্ত আবুবকর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। তবে এই বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস