অবশেষে সাভারের দেওগাঁও এলাকায় আত্মহত্যা করা শিশুর দাফনের ব্যবস্থা করেছে সেই কবরস্থান কর্তৃপক্ষ। এর আগে ভাড়াটিয়া হওয়ায় মৃতদেহ দাফনের জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন কবরস্থান কমিটির কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে বিনা টাকায় আরাফাতের দাফনের ব্যবস্থা করেন কবরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন। এর আগে সকালে সাভারের দেওঁগা মুসলিম কবস্থানে দাফনের জন্য কথা বলতে গেলে এ টাকা দাবি করা হয়।

শিশু আরাফাত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার কালিবাজার গ্রামের জিন্নার ছেলে। সে সাভারে দেওগাঁওয়ে তার দাদির সঙ্গে বসবাস করত। তারা বাবা-মা নতুন সংসার পাতায় কোনো খোঁজ রাখেননি আরাফাতের।

আরাফাতের দাদি জরিনা বেগম বলেন, গতকাল আমার আরাফাতকে, কে যেন বকাবকি করেছিল। পরে সে অভিমানে বাসায় এসে আত্মহত্যা করে। পুলিশ লাশ নিয়ে গিয়ে আজ ফেরত দেয়। সকালে দেওগাঁও কবরস্থানের কমিটির লোক জাহাঙ্গীরের কাছে গিয়ে দাফনের জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। সাংবাদিকদের বিষয়টি জানালে বিকেলে ওই কবরস্থানেই দাফনের ব্যবস্থা করেন কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন। 

দেওগাঁ মুসলিম কবস্থানের কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর খাঁন বলেন, এটা আমাদের কবরস্থানের নিয়ম। এটি একটি সামাজিক কবরস্থান। এই জায়গায় কাউকে (দাফন) মাটি দিতে গেলে টাকা লাগে। এখানে আমরা সবাই এটা নিয়ম করে নিয়েছি। এই টাকাটা উন্নয়নের কাজে ব্যবহার হয়। যে ছেলেটি মারা গেছে সেই ছেলেটির মাটি এখানে তো দেওয়া যায় না। আমাদের কবরস্থানের নিয়ম দেওগাঁর বাইরে কোনো লোক এখানে মাটি দেওয়া হবে না। তারপরেও ছেলেটি যেহেতু দেওগাঁওয়ে ভাড়া থাকত তাই আমরা বিবেচনা করেছি।

কবরস্থানটির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের এলাকায় ছেলেটি থাকত। ছেলেটির জন্য তার দাদি আমাদের বাসায় এসেও সাহায্য নিয়ে গেছে। তার দাফনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বিকেলে আমাদের কবরস্থানেই তার দাফন হয়েছে।

কবরস্থানের সভাপতি সাভারের বিএনপির প্রতিষ্ঠিতা হাজী ওমর আলী মাস্টার বলেন, কোন টাকা পয়সা লাগবে না। আমি বলে দিয়েছি কমিটিকে। বিকেল তার দাফন হয়েছে।

মাহিদুল মাহিদ/এমএএস