ফাইল ছবি 

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামে পটকা মাছ খেয়ে মতিয়ার রহমান খোকন (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজনকে অসুস্থ অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে অসুস্থদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

মৃত মতিয়ার রহমান খোকন বংশীপুর গ্রামের বাসিন্দা। অসুস্থরা হলেন- মতিয়ারের ছেলে সাগর হোসেন (২৫), মেয়ে মমতাজ খাতুন (৩০) পুত্রবধূ সিলমি খাতুন (২০), সিলমির ছেলে শাহীন (২) ও মেয়ে জিম আক্তার রোজা (৫)।

মতিয়ারের চাচাতো ভাই আব্দুল হান্নান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে রান্না করা পটকা মাছ দিয়ে পরিবারের সদস্যরা একত্রে ভাত খায়। বিকেলের দিকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সন্ধ্যার দিকে  শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা অসুস্থ ছয়জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে পথিমধ্যে মতিয়ার রহমানের মৃত্যু হয়।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিলমি খাতুন বলেন, দুপুরে বংশীপুর বাজার থেকে দুটো ৫০০ গ্রাম ওজনের টেপা (পটকা) মাছ কিনে এনেছিল। মাছ দুটোর রং হলুদ ছিল। রান্না করে দুপুর ২টার দিকে আমরা পরিবারের সদস্যরা খেয়েছিলাম। আমরা কেউ রোজা ছিলাম না। খাওয়ার পর থেকে একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ি। এমন হবে আমরা কেউ বুঝতে পারিনি।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার কিছু সময় আগে ছয়জনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারা জানিয়েছেন, দুপুরে পটকা মাছ খেয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার অবণতি দেখে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। শুনেছি পথিমধ্যে একজন মারা গেছেন। 

মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, অসুস্থরা হাসপাতালে আসতে দেরী করে ফেলেছেন। মাছে বিষক্রিয়া থাকায় এমনটি হয়েছে বলে মনে হয়। 

ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিএম শোকর আলী জানান, পটকা মাছ খেয়ে এক পরিবারের ছয়জন অসুস্থ হন। একজন মারা গেছেন। বাকিদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.মানস কুমার মন্ডল বলেন, মৃত অবস্থায় রাত ৯টার দিকে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিদের ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আকরামুল ইসলাম/আরএআর