প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। এবার ভোগান্তি ছাড়াই পাটুরিয়া ঘাট পারাপার হতে পারছে ঘরমুখো মানুষ।

ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের চাপ না থাকলেও রয়েছে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারি। যাত্রীরা ঘাট এলাকায় পৌঁছা মাত্রই ফেরিতে উঠতে পারলেও যানবাহনগুলোকে এক থেকে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর বাড়তি চাপ না থাকায় কোনো ভোগান্তি নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ঘাট এলাকার জিরো পয়েন্ট থেকে আরসিএল মোড় ছাড়িয়ে গেছে যাত্রীবাহী বাসের সারি। অন্যদিকে ৫ নং ফেরিঘাট থেকে নালীবাজার ছাড়িয়ে গেছে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির সারি। আজ সকাল থেকে নৌপথে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

সেলিম হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ঈদের সময় পাটুরিয়া ফেরিঘাটে অনেক ভোগান্তি হয়। এজন্য পরিবার নিয়ে আগেভাগেই গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া যাচ্ছি। কাল থেকে ঘাটে চাপ বাড়ার আশঙ্কা আছে। তবে ভোগান্তি না থাকলেও ঘাট এলাকায় প্রচণ্ড গরম রয়েছে।

প্রাইভেট কারচালক হাসান মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে যাত্রী নিয়ে সাড়ে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এসে পৌঁছেছি। ঘণ্টা খানেক অপেক্ষার পরে ফেরিতে উঠার সুযোগ পেয়েছি। তবে ঘাট এলাকায় তেমন চাপ না থাকায় স্বাভাবিক সময়ের মতো পার হতে পারছি। কিন্তু ঢাকার আশপাশের পোশাক কারখানা ছুটি হলে এ নৌপথে গাড়ির চাপ বাড়তে পারে। 

সাকুরা লাইন পরিবহনের বাসের চালক রশিদ মৃধা বলেন, ঘাটে গাড়ির তেমন চাপ নেই। তবে সরকারি অফিস ছুটি হলে গাড়ির সংখ্যা বাড়বে। স্বাভাবিক সময়ের মতোই নদী পার হতে পারছি। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই। ঘাট এলাকায় ৪০-৫০টি বাস, প্রায় তিন শতাধিক ছোট গাড়ি নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

সোহেল হোসেন/এসপি