রাজশাহীতে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। নগরীর হজরত শাহমখদুম রূপোস (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত এই ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন করবেন জামিয়া ইসলামিয়া শাহমখদুম (রহ.) মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি শাহাদত আলী।

তার সহকারী হিসেবে থাকবেন নগরীর হেতেমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি ইয়াকুব আলী ও হজরত শাহমখদুম (রহ.) দরগা জামে মসজিদের ইমাম মো. মুহিবুল্লাহ।

তবে বৈরী আবহাওয়া থাকলে ঈদগাহ ময়দানের পরিবর্তে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে হজরত শাহমখদুম (রহ.) দরগা জামে মসজিদে। সেখানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হলেও সময় অপরিবর্তিত থাকবে।

এসব তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন অধ্যক্ষ মুফতি শাহাদত আলী।

এদিকে নগরীতে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে টিকাপাড়া ঈদগাহ ময়দানে। সেখানেও সকাল ৮টা ঈদের জামাত হবে। একই সময়ে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজশাজী নগরীর অর্ধশত এবং জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ৩৫০ ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাত আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে ঈদগাহ কমিটিগুলো।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমদ জানান, সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত আয়োজনে এরই মধ্যে তারা রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয় সভা করেছেন। সেখানে সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটিগুলো আলোচনা করে নিজ নিজ ঈদগাহের ঈদ জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। তবে ঈদের আগের দিন মাইকিং করে সময়সূচি প্রচার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবারও ঈদের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়নি। তবে এখানকার অধিকাংশ ঈদের জামাত সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই শুরু হবে।

এদিকে নিরাপত্তাঝুঁকি না থাকলেও ঈদ জামাতগুলো ঘিরে থাকছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা। এ নিয়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধও আরোপ করেছে নগর পুলিশ।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ