চার বছর বয়সী দেবরকে মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন ভাবি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাবি রীমা খাতুনকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম আব্দুল্লাহ আল লাবিব। সে  ওই গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিন ছেলে-মেয়ের মধ্য আব্দুল্লাহ আল লাবিব সবার ছোট। 

গ্রেপ্তার রীমা খাতুন নিহত আব্দুল্লাহ আল লাবিবের বড় ভাই মেছতাউলের স্ত্রী।

নিহত পারিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতের খাবার শেষে শিশু আব্দুল্লাহ আল লাবিব তার চাচি খাদিজার সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল লাবিব ঘুম থেকে উঠে বাবার কাছে গিয়ে বিশ টাকা নিয়ে চাচা জামালের দোকানে খাবার জিনিস কিনতে যায়। সেখান থেকে শিশুটি খাবার কিনে বাড়ি এসে খাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বড় ভাই মেছতাউলের স্ত্রী রীমা এসে মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ানোর কথা বলে ঘরে নিয়ে যায়। পরে জামালের স্ত্রী খাদিজা খাতুন রীমার ঘরে গিয়ে শিশু লাবিবকে কম্বল দিয়ে ডেকে দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। গরমের ভেতর কেন লাবিবকে এমনভাবে ঢেকে রাখা হয়েছে তা রীমার কাছে জানতে চান।

তখন রীমা তাকে বলেন, লাবিব ঘুমিয়ে পড়েছে। এতে খাদিজার সন্দেহ হয়। তখন কম্বল উঠিয়ে লাবিবকে নিস্তেজ অবস্থায় দেখে চিৎকার দেন। বাড়ির অন্য সদস্যারা ছুটে এসে শিশু লাবিবকে উদ্ধার করে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা লাবিবকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এরপর পুলিশ শিশুটির ভাবি রীমা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

শিশুটির চাচা জামাল হোসেন বলেন, মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ানো কথা লাবিবকে তার ভাবি রীমা খাতুন ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ভাবির ঘর থেকে লাবিবকে নিস্তেজ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনা হয়। চিকিৎসকরা লাবিবকে মৃত ঘোষণা করেন। দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে রীমার পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এ কারণে রীমা শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বলেন, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির ভাবি রীমা খাতুন শিশুটিকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। রীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চম্পক কুমার/আরএআর