কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান কয়েকজন সমর্থকসহ কুষ্টিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে  মেহেদীসহ ছয়জনের জামিন নামঞ্জুর করেন। 

অন্যদিকে মঙ্গলবার ভোরে র‌্যাব-১২ এর একটি  দল সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী বিশ্বাস (৫২), তার সহোদর লিয়াকত আলী (৪৮), ছেলে শামীমুজ্জামান সাগর (২৭) ও রফিকুলকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

গত ২ মে বিকেল ৫টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন আস্তানগর গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান (৪৫), লাল্টু মন্ডল (৪২), আবুল কাশেম (৬৫) ও  আব্দুর রহিম মালিথা (৭০)। প্রথম তিনজন বর্তমান ঝাউদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসানের সমর্থক। আর আব্দুর রহিম মালিথা প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলীর সমর্থক। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান রতন জানান, মেহেদী হাসান তার কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের মধ্যে ১১ জনকে জামিন দেওয়া হয়। তবে ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদীসহ ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। একইভাবে অপর পক্ষের নেতা র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার কেরামত আলী বিশ্বাসসহ চারজনকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। 

রাজু আহমেদ/আরএআর