বর্তমান সরকার শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, আমাদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লব একদম দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই আমরা যে গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছি তাদেরকে একদম জব-রেডি হিসেবে তৈরি করছি কি না-সেদিকটি দেখতে হবে। 

বুধবার (১১ মে) বিকেলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে ১৭তম বিশবিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আমরা ডিগ্রি দিলাম, সনদ দিলাম। এরপর সে যদি চাকরি না পায়, একজন উদ্যোক্তা হতে না পারে, তাহলে আমার সে সনদের কোনো দাম থাকবে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘সফট স্কিল’ বৃদ্ধি করতে হবে। 

বিশ্বমানের স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের দিকে ঝুঁকেছে। কিন্তু ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের আগে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান না থাকলে আমরা ভালো করতে পারব না। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্মার্ট ও বিশ্বমানের ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলব। শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন নিয়ে বর্তমান সরকারের যে অভিযাত্রা, সেই অভিযাত্রায় শামিল হয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করব। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য হাফেজ মাওলানা মো. রুহুল আমীন মাদানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এ.বি.এম. আনিছুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। 

এর আগে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি অবকাঠামো উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

উবায়দুল হক/আরএআর