ঢাকার ধামরাইয়ে শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ অন্তত ৯ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর। শিয়ালের ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না এলাকার মানুষ।

বৃহষ্পতিবার (১২ মে) দুপুরের দিকে ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের বাড়িগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আহতরা হলেন, উপজেলার বাড়িগাঁও এলাকার বাহার আলীর স্ত্রী দুলী বেগম (৬০), আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী রংমালা (৪২), শাহাজুদ্দিন (৪৫) সুরত আলীর স্ত্রী কাজলী বেগম (৬০), সালাম মোল্লার ছেলে মনির মোল্লা (২৭), দেলোয়ার হোসেনের শিশু ছেলে  হৃদয় (৪), সোহেল (২৫), রেদুওয়ান (২২) ও সুমন হোসেন (২৫)।

আহতদের মানিকগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে রংমালা ও কাজলী বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জঙ্গল থেকে হঠাৎ একটি শিয়াল এসে শিশু হৃদয়কে কামড় দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আজ আবারও শিয়াল বের হয়ে দুলী বেগমকে কামড় দেয়। তিনি হাঁসের খাবার দিতে দিতে গিয়ে শিয়ালের আক্রমণের শিকার হন। একইভাবে ওই এলাকার নয়জনকে আক্রমণ করে শিয়াল। পরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ওই শিয়ালকে ধরে হত্যা করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল হৃদয়ের ওপর আক্রমণ করে শিয়ালটি। পরে আরও ৮ জনকে আক্রমণ করলে শেয়ালটি এলাকাবাসী মেরে ফেলেন। তবে এখনও এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আহত রংমালার স্বামী আব্দুল আওয়াল বলেন, আমার স্ত্রীর ওপর শিয়াল আক্রমণ করেছিল। আমার স্ত্রী বর্তমানে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। শিয়ালটি পাগল হয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী তাকে মেরে ফেলেছে।

কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনা লোকমুখে শুনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তবে এখন আর ভয়ের কিছুই নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোতালিব আল মোমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, এ এলাকায় আরও শিয়াল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিয়ালটি পাগল প্রকৃতির ছিল।

মাহিদুল মাহিদ/এমএএস