রাজশাহীর পবায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ চার মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের আমান কোল্ড স্টোরের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চণ্ডিপুর এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী বিথী খাতুন (৩২), এই দম্পতির চার বছরের শিশু কন্যা মরিয়ম জান্নাত ও নওগাঁর মান্দা উপজেলার ছোট বেলালদহ এলাকার ময়েজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৮)।

এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুল মান্নান ও মরিয়ম জান্নাত। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর বিথী খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। 

আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যান আক্তার হোসেন। দুর্ঘটনার পর এই দম্পতিকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেন নওহাটা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা।

স্বজনরা জানিয়েছেন, আক্তার হোসেন পরিবার নিয়ে রাজশাহী নগরীতে বসবাস করতেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সকালে মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নওগাঁর নিয়ামতপুরে যাচ্ছিলেন। আরেক মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুল মান্নানও রাজশাহী থেকে যাচ্ছিলেন মান্দার উদ্দেশ্যে।

নওহাটা ফায়ার স্টেশনের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমান কোল্ড স্টোরের সামনে মাটিবাহী ট্র্যাক্টরের সাথে দুটি মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংর্ঘষ হয়। এতে একটি মোটরসাইকেলের আরোহী আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।

আরেকটি মোটরসাইকেলে স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে যাচ্ছিলেন আক্তার হোসেন। দুর্ঘটনায় তার শিশুকন্যা মরিয়ম জান্নাত ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই শিশুর মা মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর বাবার।

ঘটনাটি তদন্ত করছেন নগরীর পবা থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহত আক্তার হোসেনের ভাই জাহাঙ্গির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

দুর্ঘটনার পর ট্র্যাক্টর ফেলে পালিয়েছেন চালক ও সহকারী। ট্র্যাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই