বেনাপোল বন্দরে জায়গা, ক্রেন ও ফর্কক্লিপ বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে ১৭ মে থেকে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়েছে।

তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ক্রেন, ফর্কক্লিপ ও দু মাসের মধ্যে অন্যান্য সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হলে আবারো কর্মবিরতি ডাকবে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি। 

সোমবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর অডিটোরিয়ামে আমদানি পণ্য খালাসকারী ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এসময় বন্দর ব্যবহারকারী অন্যান্য বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে বন্দরের দুর্বল অবকাঠামোয় বাণিজ্য বিঘ্নিত হওয়ায় সমাধানের দাবিতে পণ্য খালাস থেকে বিরত থাকতে ১৭ মে থেকে কর্মবিরতি ডাক দিয়েছিল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।

বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সেক্রেটারি আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, নিরাপদ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ক্রেন, ফর্কক্লিপসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন করবে, বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন প্রতিশ্রুতিতে কর্মবিরতি আপাতত তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ক্রেন, ফর্কক্লিপ ও দুই মাসের মধ্যে যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে ব্যর্থ হলে আবারো কর্মবিরতি ডাকা হবে। 

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ক্রেন, ফর্কক্লিপের সমাধান ও ২ মাসের মধ্যে অন্যান্য সমাস্যার সমাধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা রাখছি নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে এ কাজ সম্পূর্ণ হবে।

বেনাপোল হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি ওহিদুজ্জামান বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরে উন্নয়ন কাজের অগ্রগতির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দ্রুত তা বাস্তবায়ন করবে আশা রাখছি।
 
প্রসঙ্গত, বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। এর মধ্যে চার হাজার টন পণ্য ইকুইপমেন্ট বা ক্রেনের মাধ্যমে লোড-আনলোড হয়ে থাকে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজ এ কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ছয়টি ক্রেন সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু অর্ধেকই অর্থাৎ তিনটিই নষ্ট হয়ে অচল পড়ে আছে। বাকি তিনটি দিয়ে কার্যক্রম সচল রাখার চেষ্টা করলেও সেগুলোও আবার মাঝেমধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ১০টি ফর্কক্লিপের মধ্যে ৮টি অচল রয়েছে। এতে বন্দরে লোড-আনলোড প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে। 

জাহিদ হাসান/এমএএস